মেয়র জাহাঙ্গীরের জন্য ৬৬১ কোটি টাকার প্রকল্প পাস
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) সদ্যনির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর তার সিটির অবকাঠামো উন্নয়নে পেয়েছেন ৬৬১ কোটি টাকার প্রকল্প। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। একইসঙ্গে একনেকে সাত হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন পায়।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা ও ড্রেন) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। এ জন্য ২০২০ সাল নাগাদ সময় দেয়া হচ্ছে।
কমিশন সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জিসিসি আওতাভুক্ত নতুন এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে ৫২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আর জিসিসি থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে ১৩২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
প্রকল্পটির অনুমোদন পেলে জিসিসি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। বরাদ্দের অর্থ দিয়ে সব এলাকায় নতুন পাকা সড়ক নির্মাণ ও বিদ্যমান সড়ক প্রশস্ত করা হবে। এতে যানজট কমে আসবে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন করে ড্রেন নির্মাণ এবং বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে।
এদিকে সাত হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা খরচে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করা হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞানশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৩১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫৭৫ কিলোমিটার সেকেন্ডারি লাইনে অপটিক্যাল ফাইবারভিত্তিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং চালুকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতী) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নর্দান ইলকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড এলাকায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এমএ/বিএ/পিআর