ইহরামের কাপড় বেল্ট ব্যাগের বিক্রি বেড়েছে
হজযাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প। সেখানে নানা আনুষ্ঠানিকতায় চলছে হজের প্রস্তুতি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করে নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হজযাত্রীরা। হজের এ ভরা মৌসুমে হজ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার হজ ক্যাম্প ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার আগে দেশের হজযাত্রীরা জড়ো হন হজ ক্যাম্পে। এখান থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম, বোর্ডিং কার্ড গ্রহণ, বিমানের টিকিট ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
হজ ক্যাম্পের বাইরে বিপরীত পাশে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স। ভবনটিতে প্রায় ২০টির মতো দোকানে বিভিন্ন হজসামগ্রী বিক্রি করে। এর মধ্যে রয়েছে হজযাত্রীদের ইহরামের কাপড়, বেল্ট, ব্যাগ, বালিস, লুঙ্গি, চাদরসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্য।
হজযাত্রীরা এখান থেকেই কিনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অন্যদিকে হজ মৌসুমে ভালো বেচাকেনা হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় হজসামগ্রী বিক্রি করছিলেন মো. রিফাদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সারাবছরই হজসামগ্রী বিক্রি করি। তবে হজের মৌসমে অর্থাৎ দেড় মাস বিক্রি ভালো হয়। এক কথায় সারা বছরের ব্যবসা এই এক-দেড় মাসে করতে হয়। এখানে ইহরামের কাপড়, তাওয়াল, বেল্টসেট, হাওয়ার বালিশসহ হজের সবসামগ্রী আছে।
ইহরামের কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। বেল্ট ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। বিভিন্ন আকারের ব্যাগ রয়েছে। কোমরে বাধার ও পাসপোর্ট ব্যাগ ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা। বড় ব্যাগ ১৩০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জায়নামাজ, টুপি, তজবি, নেল কাটার, আয়না, ছাতাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র মানভেদে বিক্রি হচ্ছে নানা দামে।
শেরপুরের হজযাত্রী সামিউল বলেন, আজ রাত্রে আমার হজ ফ্লাইট। কিছু টুকিটাকি জিনিসপত্র কেনা বাকি রয়েছে। এগুলো কিনতেছি। কোমরের দুটি বেল্ট কিনলাম। ইহরামের কাপড় কিনব, যাচাই-বাছাই করছি।
এখানে হজের প্রয়োজনীয় সব পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বেশি দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা মোল্লা হোসেন বলেন, এখানে অনেক দোকান। দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। বরং অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানে দাম কমই। আর বছরের একটি সময় আমাদের বিক্রি হয়। ক্রেতা হাতছাড়া করা যাবে না। অল্প লাভ হলেও বিক্রি করে দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। দুদিনে (১৪ ও ১৫ জুলাই) কোনো প্রকার বিঘ্ন ছাড়াই ৩২টি ফ্লাইটে মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন ও ৫২৮ হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারজনসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাবেন।
এসআই/আরএম/জেডএ/আরআইপি