রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ম ভেঙে অনুদান দিয়েছে এডিবি
বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, এডিবির অনুদান দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিষয়টি খুব বেশি মানবিক। তাই তাদের ডোনারদের কনভেন্স করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় নিয়ম ভেঙে বাংলাদেশ সরকারকে ২০ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে এডিবি।
আজ (রোববার) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, ২০ কোটি ডলার সহায়তার প্রথম কিস্তিতে ১০ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। বাকি ১০ কোটি ডলার শিগগিরই ছাড় করা হবে। এসব অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়, খাবার পানি, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন এবং অন্যান্য জরুরি সেবায় ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, এডিবির একটি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কাজ করছে। তারা এসব অর্থের সদ্ব্যবহারে একটি প্রকল্প দাঁড় করাচ্ছে।
গত মে মাসে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার অনুরোধ পাওয়ার পর ২০ কোটি ডলার দেয়ার এই উদ্যোগ নেয় এডিবি।
এর প্রথম কিস্তির ১০ কোটি ডলার দিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবাসন নির্মাণ করা হবে, যেখানে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পে সড়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যাতে খাদ্য সরবরাহ, মজুত, হাসপাতাল ও স্কুলে যাওয়া-আসার পথ সহজ হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় চার লাখ মানুষ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে। আর গত বছর আগস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নতুন দমন-পীড়ন শুরু হলে গত দশ মাসে এসেছে আরও প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের ৩২টি ক্যাম্পে থাকা এই রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, আশ্রয়, খাবার পানি, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন এবং অন্যান্য জরুরি সেবার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে গিয়ে প্রতিদিন বিপুল চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
এমইউএইচ/এমএমজেড/পিআর