ডিমের দাম বাড়ছেই
বেড়েই চলছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। রোজার ঈদের পর থেকেই এ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবারহ কম থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে।
বুধবার রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, রামপুরা, খিলগাঁও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
যেখানে এক সপ্তাহ আগেরও ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ২৪ থেকে ২৬ টাকা। তবে কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন টাকা ব্যবধান রয়েছে প্রতি হালিতে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর থেকেই ডিমের দাম বাড়ছে। দুই-তিন টাকা করে করে হালিতে ৭-৮ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না বলতে পারলেও ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদের পর মাছ, সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে। এসব পণ্যের দাম বাড়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে, ফলে দামও বেড়েছে।
রাজধানীর মুগদার ডিম বিক্রেতা ওলি হোসেন বলেন, ঈদের সময় একশ ডিম ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায় কিনতে হতো। এখন ওই ডিম কিনতে হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায়। গত ১০ দিন ধরে প্রতিদিনই ডিমের দাম বাড়ছে। এখন প্রতিটি ডিম কেনাই পড়ে ৭ টাকা। খুচরা বিক্রি করব কত? তাই ৩০ থেকে ৩২ টাকা হালি বিক্রি করতে হচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের কারণে বাজারে মাছ সরবারহ কমে গেছে। এছাড়া মুরগির দামও বেশি। তাই এখন ডিমের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে।
দাম বাড়ানো কিংবা কমানোর ক্ষেত্রে খুচরা বিক্রেতাদের কোনো ভূমিকা থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পাইকারি দরে ডিম কিনে খুচরা বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরায় বাড়ে। আর কমলেও খুচরায় কমে যায়। আমরা যদি বাজারের তুলনায় দাম বেশি রাখি কাস্টমার অন্য দোকানে চলে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেশি রাখার কোনো সুযোগও নেই।
মতিঝিল বাজারের এক ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ৭৬ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। আজকে (বুধবার) ৯০ টাকায় কিনেছি। ডিম প্রতিদিনই লাগে তাই কিনতে হয়। কিছুই করারও নেই। কারা দাম বাড়ায়, কেন বাড়ায় কিছুই বুঝা যায় না। আমাদের সরকারি যেসব সংস্থা বাজার মনিটরিং করে দাম বাড়লে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। সব সময় ভুক্তভোগী হই আমরা সাধারণ মানুষ। তাই কিছু বলে লাভ নেই।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দেশে বছরে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ৩১ লাখ পিস ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। আর চাহিদা রয়েছে এক হাজার ৬৯৪ কোটি ১৬ লাখ। এ হিসাবে বছরে চাহিদার তুলনায় ২০০ কোটি ৮৫ লাখ পিস ডিমের ঘাটতি রয়েছে।
এসআই/আরএস/আরআইপি