সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন
ঈদে দেশের শেয়ারবাজারে টানা চার কার্যদিবস উত্থান হলেও শেষ দুই কার্যদিবসে আবার টানা দরপতন হয়েছে। আগের কার্যদিবসেরর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক কমেছ।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমান। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।
বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আরএসআরএম স্টিলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ইন্ট্রিকো রিফুয়েলিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিক হোটেল, বেক্সিকমো এবং মুন্নু জুট স্টাফলার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৮৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
এমএএস/এসএইচএস/এমএস