এক সপ্তাহেই ডিএসই থেকে ৩১৬ কোটি টাকা উধাও
দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব দেখা দেয়ায় ক্রমান্বয়ে কমছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। শেষ সপ্তাহে (৩-৭ জুন) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে বা উধাও হয়েছে ৩১৬ কোটি টাকা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।
বাজার মূলধনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে গড় ও মোট লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইএক্স ও ডিএসই-৩০ সূচক কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ২২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে হয় ৮৫ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ বেড়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশে।
প্রধান ও বাছাইকৃত সূচক বাড়লেও কমেছে ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহে এ সূচকটি কমে দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ হয়। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি কমে ২১ দাঁড়ায় দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৫৪টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়ে। অপরদিকে দাম কমে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৩০টির দাম।
বেশি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪২৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ১২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৬৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৬ দশমিক ৭৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয় ৭২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইন্ট্রিকো রিফুয়েলিং, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, খুলনা পাওয়ার, বার্জার পেইন্ট, গ্রামীণ ফোন, লিগাসি ফুটওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
এমএএস/জেডএ/পিআর