বাজেট বাস্তবায়নের হার কমা সরকারের ব্যর্থতা : অর্থমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়া ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন না হওয়া সরকারের জন্য ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সোমবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘স্বপ্ন পূরণের বাজেট’ শীর্ষক প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের হার অনবরত কমছে। এক সময় ৯৩ থেকে ৯৫ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন হত। এখন সেটা ৮০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা বর্তমান সরকারের জন্য খুব খারাপ সংবাদ।
তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন সহজ করতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলেও তেমন কাজ হয়নি। উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালকদের তালিকায় প্রস্তুত হয়নি। সুতরাং এখন দেখতে হবে কোন এরিয়ায় কাজ করলে বাস্তবায়ন বাড়বে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একেবারে খারাপ। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রতি বছর সরকারকে ঋণ হিসেবে অর্থ দিতে হয়। এটা আমাদের ফেইলিওর যে আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছে না। তবে ভালো খবর হচ্ছে- রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আর বাড়ছে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে অনেক সাফল্য রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনের হার ক্রমন্বয়ে কমছে।
’৬৬ শতাংশ পুপলেশন হাইলি অ্যাকটিভ, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেলেও সে রকম ট্রেইন আমরা করতে পারছি না। দেশের উন্নয়নে এদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সাল থেকে দক্ষজনবল তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আমব্রেলা প্রজেক্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বেশ কিছু দক্ষকর্মী তৈরি হচ্ছে।
বাজেট আকারের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চাভিলাসী নয়, লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা। সে পরিমাণে এখনও যেতে পারিনি। বাজেটের আকার না বাড়ালে আমরা জনগণকে সার্ভিস দিব কীভাবে। তাই আসন্ন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন ৭৪ টু ৮৪ হবে। বাস্তবায়ন অনুযায়ী আগামী বাজেটের আকার চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। তবে এ বছরের বাজেট বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে নানা কারণ রয়েছে।
স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার প্রমুখ।
এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম