ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

পতনের মধ্যেই শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২২ মে ২০১৮

টানা ১৩ কার্যদিবস দরপতনের পর দেশের শেয়ারবাজারে সোমবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিললেও এক কার্যদিবস পরেই মঙ্গলবার আবারও দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে।

এদিন মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এই পতনের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রকৌশল, ওষুধ ও বীমা খাতের কোম্পানিগুলো।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭টির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৩টির। ওষুধ খাতের ১৭টির দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে ১১টির। আর বীমা খাতের ২১টির দাম কমেছে, বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৪টির।

এদিকে দেশের শেয়ারবাজারের মূল্য সূচক উত্থান-পতনে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখা ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং সমান সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। তবে আর্থিক খাতে দরপতনের সংখ্যাই বেশি। এই খাতটির ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮টির।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজার। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার পর নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। অবশ্য ১২টার দিকে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। ফলে দরপতনের মাধ্যমেই লেনদেন শেষ হয়। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমে যায়। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০০টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির।

মূল্য সূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বার্জারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিএসআরএম।

লেনদেনে এরপর রয়েছে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, লিগাসি ফুটওয়্যার, সিনো বাংলা, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক এবং গ্রামীণ ফোন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।

এমএএস/এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন