ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

আমদানি কমাতে দেশীয় পণ্যের মান বাড়তে হবে : এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ০৬ মে ২০১৮

আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় পণ্যের মান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে আমরা কাজ করবো। বাজেটে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে এতে আমদানি বন্ধ হবে না। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় পণ্যের মান বাড়তে হবে।

রোববার প্রাক-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় এসএমই ফাউন্ডেশন, লুব ব্লেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন, ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন ও তামাকবিরোধী জোট আত্মার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন বলেন, দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হচ্ছে। দেশের বাইরে ৩০ বছরের কিস্তিতে ১-২ শতাংশ সুদে ফ্ল্যাট, বাড়ি কেনা যায়। কিন্তু দেশে কোনো ব্যক্তি আবাসন খাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেই দুদক তাকে হয়রানি করছে। এ টাকা মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিলে টাকা পাচার রোধ হবে। ফলে সরকার ভবিষ্যতে কর পাবে।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আবাসনে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো হবে না। শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি কমাতে অনুরোধ জানানো হবে। একেবারে জরিমানা ছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ছোট-বড় ১০৬টি পেপার মিল চালু রয়েছে। প্রতি বছর কাগজের চাহিদা ১০ লাখ টন হলেও ১৫ লাখ টন কাগজ উৎপাদন হয়। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাগজ রফতানিও করছে। কিন্তু কিছু অসাধু আমদানিকারক বন্ডের অপব্যবহার, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাগজ আমদানি করছে। ফলে বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে। এসব বন্ধে এনবিআরকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তামাকবিরোধী জোট আত্মার প্রতিনিধি নাদিরা কিরন বলেন, দেশে তামাক পণ্যের মূল্য সস্তা এবং তা দিন দিন আরও সস্তা হচ্ছে। বিদ্যমান তামাক কর-কাঠামো অত্যন্ত জটিল হওয়ায় কর ফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা দুইটিতে (নিম্ন এবং উচ্চ) নামিয়ে আনা, ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা, ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের (জর্দা ও গুল) এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্তর প্রস্তাব করেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে টোব্যাকোর যে মূল্য রয়েছে তা যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এ বছর সব তামাকপণ্যে যৌক্তিক হারে কর বাড়ানো হবে। নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বর্তমানে কম, আগামী বাজেটে তা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কম দামি সিগারেটের দাম না বাড়ানোর চাপও এনবিআরের উপর আছে।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় আয়কর নীতির সদস্য কানন কুমার রায়, শুল্কনীতির সদস্য ফিরোজ শাহ আলম ও ভ্যাটনীতির সদস্য রেজাউল হাসানসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন