ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘এটা এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে তাই এতে নিম্ন আয়ের মনুষদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।’

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গেল ডিজিট (এক অঙ্কে) সুদে ঋণ, এটা তো প্রধানমন্ত্রীরও চাওয়া। এটা বাস্তবায়ন করতে আমরা চেষ্টা করছি। অভিযোগ রয়েছে যে, আমাদের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আকর্ষণীয়। আমরা সবসময় সঞ্চয়পত্রের সুদটা আকর্ষণীয় রাখি। তবে এখন বাজারে ঋণের সুদের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের ঋণের ফারাকটা একটু বেশি হয়ে গেছে। তাই এটাকে রিভিউ করতে হবে। কিন্তু এর সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি যুক্ত। তাই রিভিউ করা হয়নি। তবে এবার সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এটাকে রিভিউ করা হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের অবস্থা যতটা খারাপ বলা হচ্ছে ঠিক ততটা নয়। তবে এ খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা একটু বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তবে তাদের সরকারের প্রয়োজনে অনেক রিক্সি জায়গায় বিনিয়োগ করতে হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগের জন্য শুধু ব্যাংকের ওপর ভরসা করতে হয়। এটা রঙ। বিনিয়োগের জন্য, ফান্ড গঠনের জন্য বিশেষায়িত একটি ব্যাংকও তো আমাদের নেই। সুতরাং এটার সমাধান হচ্ছে শেয়ারবাজার। আমার মনে হয়, আমরা গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন করেছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে অর্থ নিয়ে বিনিয়োগের সময় এসেছে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাতারাতি তো দুর্নীতি কমানো সম্ভব নয়। এখনও দুর্নীতি রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রথম দিকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। এ কারণে আশা কারছি আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে।
বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। এ বছর শেষে এটি ১৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে, এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে পারে আনুমানিক চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জ্বালানি, যোগাযোগ, শিক্ষা খাতসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে’- বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

এমইউএইচ/ওআর/এমএআর/বিএ/পিআর

আরও পড়ুন