স্বল্প মূলধনী কোম্পানির বিধির সংশোধনী অনুমোদন
স্বল্প মূলধনী কোম্পানি রুলসের কিছু বিধির সংশোধনী অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৪২তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস ২০১৬ এর কতিপয় বিধি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। শিগগিরই তা জনমত যাচাইয়ের জন্য দৈনিক পত্রিকা এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং অব স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রেগুলেশন ২০১৮ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং অব স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রেগুলেশন ২০১৮ কতিপয় বিধিমালা সংশোধনী কমিশন অনুমোদন করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ৫৬৫তম সভায় অনুমোদন করা হয়।
সে সময় বিএসইসি থেকে জানানা হয়, ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামের আলাদা বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা এবং তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে শেয়ার উত্তোলন করতে হবে। আর স্বল্প মূলধনী কোম্পানির এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এই বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।
কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে।
এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ডিমেটারিয়ালাইজ ফরমে হবে অর্থাৎ শেয়ার কাগুজে হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য ন্যূনতম ফি ও অন্যান্য খরচ ধার্য করা হবে। তবে কমপ্লায়েন্সের বাধ্যবাধকতা বর্তমান প্রচলিত আইপিওর চেয়ে হ্রাস করা হবে। এক্সচেঞ্জগুলো কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এদিকে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির কিছু বিধি মালা সংশোধনী অনুমোদনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের সভায় কমিশন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ এবং কর্তৃত্ব) বিধিমালা ২০১৮ এর কিছু সংশোধনী অনুমোদন করেছে। শিগগিরই তা জনমত যাচাইয়ের জন্য দৈনিক পত্রিকা এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
এমএএস/এমআরএম/পিআর