লোকসানে থেকেও দাম বাড়ছে হাক্কানি পাল্পের
লোকসানে থাকার পরও অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হাক্কানি পাল্পের শেয়ার দাম। শেষ ছয় কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। শেয়ারের এমন দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
তবে হাক্কানি পাল্প কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধির পিছনে কোনো কারণ নেই। যে কারণে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই।
ডিএসইর সতর্ক বার্তা প্রকাশ করায় কোম্পানিটির শেয়ার দামের ঊর্ধ্বমুখীতায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সোমবার, দুপুর আড়াইটা) হাক্কানি পাল্পের প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা ২০ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়। এর জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল থেকে হাক্কানি পাল্পের শেয়ার দাম টানা বাড়ছে। ৪ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা, যা ১৫ এপ্রিল লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৬২ টাকা ৭০ পয়সায়।
শেয়ার দাম এভাবে বাড়লেও গত বছর হাক্কানি পাল্প শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারের পঁচা কোম্পানি বা জেড গ্রুপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কোম্পানিটি। চলতি হিসাব বছরেও কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে হাক্কানি পাল্পের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩১ পয়সা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচলকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।
এমএএস/আরএস/পিআর