আবার পতন ধারায় ডিএসই
টানা পাঁচ সপ্তাহ পতনের পর টানা দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থেকে গত সপ্তাহে (৮ থেকে ১২ এপ্রিল) আবার দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। সপ্তাহটিতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ২৪৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৮৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছিল ৪১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৩০টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দাম।
মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৪২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ১০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট ৩৭২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার বেশি হাতবদল হয়েছে।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০ দশমিক ৭৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ৫১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দশমিক ৯৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৫ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ৮১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- কেয়া কসমেটিক, আলিফ মেনুফ্যাকচারিং, ইফাদ অটোস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউনিক হোটেল, নর্দান জুট এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
এমএএস/এমএমজেড/পিআর