‘যেকোনো মূল্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট বসানো হবে’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আসন্ন বাজেটে যেকোনো মূল্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির ওপর ভ্যাট বসানো হবে। এর বাইরে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলের ব্যবহারের ওপর আলাদা করে কর আরোপের চিন্তা রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিডিনিউজ২৪.কম সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেসবুকে কর আরোপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, আমরা ক্যাবিনেটে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। সে মোতাবেক আগামী বাজেটে এসব ব্যবহারের ওপর আলাদা করা আরোপ করা হবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশনি ফির ওপর কর আরোপ হবেই। ছাত্রদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা কীভাবে তা আদায় করবে, সেটা তাদের বিষয়। আমরা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথমবারের মতো ভ্যাট আরোপ করেছিল সরকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে তা প্রত্যাহার করতে হয়েছে।
আলোচনায় সংবাদপত্রের সংকটের কথা জানিয়ে নিউজ প্রিন্টের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবি করা হয় বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বিদেশি চ্যানেল ল্যান্ডিং কস্ট, টিভি ক্যাবল ডিজিটালাইজড করারও দাবি জানান টিভি মালিকরা।
সংবাদপত্র শিল্পে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর বিদ্যমান কর ও ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, বর্তমানে নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ, ভ্যাট ১২ শতাংশ ও ৫ শতাংশ কর রয়েছে। এর মধ্যে এআইটি ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে ভ্যাট ও কর পর্যালোচনা করে সমন্বয় করা হবে। সকল ক্ষেত্রেই কর্পোরেট করহার কমানো হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল অনেক কম খরচে দেখা যায়। আর বাংলাদেশের চ্যানেল ভারতে অনেক দাম দিয়ে দেখতে হয়। এটা কোটি আর লাখের মতো। আগামী বাজেটে এটি সমান করা হবে। বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো যাতে ভারতে দেখা যায় সে জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে।
এছাড়া আগামী অর্থবছরের মধ্যে দেশের কেবল টিভি ডিজিটালাইজড করা হবে। সে জন্য আগামী বাজেটে সময়াবদ্ধ কাঠামো ঘোষণা করা হবে। আগামী অর্থবছরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এমএ/বিএ