ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নন-ইউরিয়া সার বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৮

বিএডিসির মাধ্যমে আমদানিকৃত নন-ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) নেতারা।

শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বিএফএ'র ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান। সভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি ছিলেন।

বিএফএ নেতারা বলেন, বিএফএ’র সদস্যভুক্ত সার ডিলাররা ১৯৯৫ সাল থেকে চাষী পর্যায়ে সুষ্ঠু সার সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে আসছে। সার ব্যবস্থাপনায় তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নন-ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ)-এর চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), দ্যা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাপরিচালক সতীশ চন্দর, বিএফএ’র সহ সভাপতি মো. মোমেন সরকার বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএফএ’র নেতারা মিল গেট ও বাফার গুদামে ইউরিয়া সারের একই মূল্য নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে শূন্য কোটা ছাড়া অংশ বিশেষের জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রাখায় সরকারের প্রশংসা করেন। তারা অঞ্চলভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী মোটা ও চিকন দানার ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং বর্তমানে চাষী পর্যায়ে সারের চাহিদা কম থাকায় এপ্রিল থেকে জুন, ২০১৮ পর্যন্ত সার উত্তোলন ঐচ্ছিক করার দাবি জানান। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা সরকার নির্ধারিত সারের বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শিল্পমন্ত্রী সার ডিলারদের ব্যবসাকে একটি মানবিক ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেন বলেন, এ ব্যবসার সঙ্গে মানব সেবার বিষয়টি জড়িত। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থানে সার ডিলাররা পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামে এবং ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের মাসব্যাপী আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মধ্যেও চাষী পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ করায় ডিলারদের ধন্যবাদ জানান।

আমু বলেন, সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারখানায় বছরে ৫ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি সার উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি নরসিংদীর পলাশে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ নামে আরেকটি নতুন কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার সারখাতে বিপুল পরিমাণে ভতুর্কি দিচ্ছে। এখাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ভতুর্কি দেয়া হয়েছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদনে স্বাবলম্বীতা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ভর্তুকির এ ইতিবাচক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এসআই/জেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন