ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নিত্যপণ্যের চাহিদা ও মজুদের খতিয়ান তুলে ধরলেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৮

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে রোববার সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন মন্ত্রী। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বছরে ১৫ লাখ টন এবং রমজান মাসে আরও আড়াই লাখ টনসহ মোট সাড়ে ১৭ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে গতবছর দেশীয় উৎপাদন ছিল ৭ দশমিক শূন্য লাখ টন এবং আমদানি করা হয়েছিল ২৯ দশমিক ২ লাখ টন। এ বছর গত ৮ মাসে আমদানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ লাখ টন।

বছরে চিনির চাহিদা ১৬ লাখ টন, রমজান মাসে অতিরিক্ত প্রয়োজন হয় আরও ৩ লাখ টন সর্বমোট বছরে চাহিদা ১৯ লাখ টন। গত বছর চিনি আমদানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৩৭ লাখ টন, এ বছর ৮ মাসে আমদানি হয়েছে ৩ দশমিক ৬৫ লাখ টন এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৬২ টন।

বছরে ছোলার চাহিদা ১ লাখ টন এবং রমজান মাসে আরও ৮০ হাজার টন প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ মোট চাহিদা ১ লাখ ৮০ হাজর টন। গত বছর ছোলা আমদানি হয় ৫ দশমিক শূন্য ৮ লাখ টন এবং এ বছর ৮ মাসে আমদানি হয়েছে ১ দশমিক ৯৮ টন। আর স্থানীয়ভাবে উপাদন হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টন।

বছরে পেয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। গত বছর পেয়াজ উৎপাদন আমদানি হয়েছিল ২১ দশমিক ৫৩ লাখ টন। আর আমদানি করা হয় ১২ দশমিক ৬৭ লাখ টন। এ বছর আট মাসে আমদানি হয়েছে ৪ দশমিক ৫০ লাখ টন।

বছরে খেজুরের চাহিদা ২০ হাজার টন এবং রমজান মাসে আরও ১৮ হাজার টন প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ মোট চাহিদা ৩৮ হাজর টন। গত বছর খেজুর আমদানি হয়েছিল ৪৩ হাজার ৮৮২ টন এবং এ বছর ৮ মাসে আমদানি হয়েছে ৩৯ হাজার ১৫৪ টন।

এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এসব খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্যের মজুদ রয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ী বা ভোক্তাদের আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে উৎপাদনের পাশাপাশি চাল, ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

‘সংগত কারণে পবিত্র রমজান মাসে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, মূল্যবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পণ্য মজুদ রয়েছে। এ বিষয়ে দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সঠিক ও বাস্তবসম্মত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে প্রচার মাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারে’-বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হবে না বা সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না। কোনো পণ্যের কৃত্তিম সঙ্কটের সম্ভাবনা নেই। শুধু রমজান মাসেই নয়, সারাবছর দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।’

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সালেহ মো. গোলাম আম্বিয়া, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একরামুল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মফিকুল ইসলাম লস্কর, আমদানি ও রফতানি অধিদফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক এ.আর.এম নজমুস্ ছাকিব, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর

আরও পড়ুন