টানা পাঁচ সপ্তাহ পতনে শেয়ারবাজার
দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। শেষ সপ্তাহেও (১৮ থেকে ২২ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ দরপতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।
শেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪০ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১০৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর টানা পাঁচ সপ্তাহের পতনে ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬৯ পয়েন্ট।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৩৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ২৭ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক শেষ সপ্তাহে কমেছে ২৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছিল ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৫২টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ২৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।
মূল্যসূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অথবা ইউনিটের দাম কমলেও শেষ সপ্তাহে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৭৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
গড় লেনদেনের পাশাপাশি মোট লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বিগত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৮৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে।
এদিকে গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৭৯৩ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কুইন সউথ টেক্সটাইলের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ৩৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওয়াটা কেমিক্যাল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু সিরামিক, ইফাদ অটোস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সেলভো কেমিক্যাল, ব্র্যাক ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং গ্রামীণ ফোন।
এমএএস/এমএমজেড/পিআর