লাগেজ পার্টির কসমেটিকস বিক্রি: আলমাসকে জরিমানা
দেশি-বিদেশি নামিদামি সব ব্র্যান্ডের কসমেটিকস (প্রসাধনী সামগ্রী) অন্যতম বিক্রিয় প্রতিষ্ঠান আলমাস সুপার শপ। প্রতিষ্ঠানটির ওপর মানুষের রয়েছে আস্থা ও বিশ্বাস। সেই সরলতাকে পুঁজি করেই ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছে আলমাস। বাড়তি মুনাফার লোভে অবৈধ পথে আসা লাগেজ পার্টির নকল পণ্য বিক্রি করেছে সুপার শপটি। ফলে কৌশলে ঠকাচ্ছে ক্রেতাদের, রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এদিকে প্রতিদিনই আলমাসের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে ক্রেতারা। বিভিন্ন সময় বিদেশি পণ্যের নামে ভেজাল পণ্য বিক্রি করছে। পণ্যের মোড়কে ইচ্ছে মত এমআরপি ( সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) লাগিয়ে বিক্রি করছে। বিদেশি এবং গুণগত মানসম্পন্ন পণ্যের নামে জিনিসপত্র কিনে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।
গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে এমনই তথ্য পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। আর অবৈধ পণ্য বিক্রির দায়ে আলমাস সুপার শপকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদফতর।
ভোক্তা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কাযার্লয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় বুধবার বিভিন্ন সুপার চেইনশপ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এসময় নামকরা ব্র্যান্ড আলমাস সুপার শপে অবৈধ পন্থায় আনা ( লাগেজ পার্টির) বিভিন্ন বিদেশি প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করছে। এসব প্রসাধনীর গায়ে আমদানিকারকের নাম লেখা ছিল না। এটি কি আসলে বিদেশি পণ্য নাকি দেশের তৈরি নকল পণ্য তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অধিদফতরের এ উপ-পরিচালক আরও বলেন, আস্থার জায়গা যদি পুঁজি করে তাহলে মানুষ কোথায় যাবে। বাড়তি লাভের আশায় অবৈধ পণ্য বিক্রি। ইচ্ছা মত মূল্য নিয়ে ভোক্তাদের ঠোকাচ্ছে। এতে একদিকে অবৈধ ব্যবসা, অন্যদিকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়। এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী, আলমাস সুপার শপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসআই/জেএইচ/জেআইএম