ওটিসি মার্কেট বাস্তবায়নে কমিটি গঠন
ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট বাস্তবায়নে পাঁচ সদস্যের কামিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৬৩৬তম কমিশন সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ওটিসি মার্কেট বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা তৈরি করবে। ৮ এপ্রিলের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, মো. আনোয়ারুর ইসলাম এবং মো. মাহবুবুল আলম। এ তিন কর্মকর্তা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক।
বিএসইসির ‘ডেভেলপমেন্ট ওটিসি মার্কেট অব ডিএসই’নামে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা তৈরি করতে নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ২০০৯ সালে চালু করা হয় ওটিসি মার্কেটে। বর্তমানে এই মার্কেটে ৬৫টি কোম্পানি রয়েছে। তবে দিনে মাত্র কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।
মার্কেটটি গতিশীল করতে ২০১৭ সালে ডিএসই থেকে বিএসইসির কাছে কিছু প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল- ওটিসি মার্কেট পরিচালনায় পৃথক বোর্ড গঠন। এ বোর্ডের অধীনেই মূল মার্কেটের মতোই সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। ওটিসিতে শেয়ারের জোগান থাকলেও বর্তমানে বিনিয়োগকারীর ইচ্ছা হলে শেয়ার লেনদেন করতে পারে না।
ডিএসইর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মূল মার্কেটের মতোই ওটিসি মার্কেটে নিয়মিত শেয়ার লেনদেনের সুযোগ থাকবে। এতে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ওটিসিতে লেনদেন করতে পারবে।
এরপর ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে ‘ডেভেলপমেন্ট ওটিসি মার্কেট অব ডিএসই’নামে একটি কমিটি করে বিএসইসি। তিন সদস্যের ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। কমিটির অপর দুই সদস্য উপ-পরিচালক শেখ মো. লুৎফর কবীর ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এরপর অক্টোবরে ওই কমিটির অধীনেই একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
বাজারের সবচেয়ে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোকে ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি নবায়ন ফি বকেয়া পড়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রধান বাজার থেকে কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যুত করা হয়।
এমএএস/এএইচ/পিআর