ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যে সকল বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশুশ্রম বন্ধ এবং রফতানির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জেরে মুখে ফেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে এসেছে। জাতির পিতার জন্মদিনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের ও মর্যাদার।

তিনি বলেন, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যেসকল দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে না, সে সকল দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রফতানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরও বেশি বিশ্ব বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি খাত হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে ওষুধ রফতানির সুযোগ পাওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাকি সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করা যাবে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এমইউএইচ/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন