দেশে বীমা গ্রহীতার হার বেড়েছে : আইডিআর
বীমা ব্যবসার প্রসার গ্রস প্রিমিয়ামের উপর নির্ভর করে। বীমা গ্রাহক বৃদ্ধি পেলে গ্রস প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পায়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুসারে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে বীমা গ্রহীতার হার বেড়েছে। ফলে বীমা ব্যবসার প্রসারও হয়েছে। এ কারণে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে আইডিআরএ। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের কাছে পাঠানো বীমা খাতের অগ্রগতি ও সাফল্য প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকদের বীমা দাবির প্রেক্ষিতে নিষ্পত্তির হারও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীমা দাবি নিষ্পত্তির হার সন্তোষজনক। কেননা অর্থের পরিমাণে তা বেড়েছে। বীমা শিল্পের অন্যতম দক্ষতার সূচক বীমা দাবি পরিশোধের হার। আইডিআরএ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৮ বছরে গ্রাহকের দাবির প্রেক্ষিতে বীমা দাবি পরিশোধের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বীমা দাবি পরিশোধের হার ছিল ৭২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। শেষ পর্যায়ে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে বীমা দাবি পরিশোধের হার ৬২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বীমা খাতে বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রাহকরা বীমা করলেও কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পান না। প্রায় সব কোম্পানিরই ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পুরো খাতটি আস্থার সংকটে রয়েছে। মানুষ এ খাতে সহজে আসতে চায় না। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে বীমা খাতে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আইডিআরের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ব্যাংকের চেয়ে বীমা খাতের আকার বড়। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম। এ দেশে বীমা খাতের নাম শুনলে নেতিবাচক ধারণা আসে। তিনি বলেন, বীমা খাতে অনৈতিক কমিশন বাণিজ্য বড় সমস্যা। এটি বন্ধ করতে হবে। এ খাতের নীতিমালার অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। তার মতে, এ খাতের জন্য ৪০টি বিধিমালা করা দরকার। ইতোমধ্যে কয়েকটির কাজ চলছে। আগামী দিনে আরও ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হবে।
এমএ/ওআর/জেআইএম