শেয়ারবাজারে ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
একদিন মূল্য সূচক সামান্য বাড়লে পরের দিনই বড় দরপতন হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এমন চিত্রই শেয়ারবাজারে। ফলে এক প্রকার দরপতনের মধ্যেই আটকে রয়েছে শেয়ারবাজার। সে সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই বড় দরপতন হলো। আর শেষ ২০ মাসের মধ্যে ডিএসইতে আজ সর্বোনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মাত্র ৫৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৬টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দাম।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৪ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১২৬ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে।
বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যা শেষ ২০ মাস বা ২০১৬ সালের ১০ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। ২০১৬ সালের ১০ জুলাইয়ে ডিএসইতে লেনদেন হয় ২০৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে রোববার ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্ম।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, জেমিনি সি ফুড, ড্রাগণ সোয়েটার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপয়ার্ড এবং নাহি অ্যালুমিনিয়াম।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৭৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৭৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি চার লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৬৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দাম।
এমএএস/এএইচ/আরআইপি