ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রড-সিমেন্টের দাম বৃদ্ধিতে আবাসন ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৮

হঠাৎ করে রড-সিমেন্টের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে- এমন অভিযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, হঠাৎ করে এমন দাম বাড়ার লক্ষণ ভালো নয়। দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে আবাসন ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর পথে। এ অবস্থায় রড ও সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি আবাসন ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।

রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেলটেকের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত শেলটেক কর্পোরেট অফিস লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এম সেরাজ, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কুতুবউদ্দিন আহমেদ, পরিচালক তানভীর আহমেদ, ড. সামিয়া সেরাজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ মার্চ শেলটেক ৩০ বছর পূর্তি করবে। এ উপলক্ষে তিন সপ্তাহব্যাপী আবাসন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এ মেলা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। পান্থপথে অবস্থিত শেলটেকের কর্পোরেট অফিস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মেলা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা চলাকালীন অ্যাপার্টমেন্ট বুকিং দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে।

ড. তৌফিক এম সেরাজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন ব্যবসায় মন্দা ছিল। সেখান থেকে ২০১৭ সাল ছিল রাইজিং পিরিয়ড। বছরটিতে মোটামুটি ভালো ব্যবসা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেও ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো। কিন্তু ব্যাংক সুদের হার আবার বাড়ছে। রড-সিমেন্টের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এটি ভালো লক্ষণ না।

সংবাদ সম্মেলনে শেলটেকের ৩০ বছরের সাফল্যের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন পরিচালক সামিয়া সেরাজ। তিনি বলেন, ৩০ বছরে শেলটেক ১৬০টি প্রকল্প (৬৫ লাখ বর্গফুট) নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর করেছে। যেখানে তিন হাজার ৫০০ অ্যাপার্টমেন্টে ১৭ হাজার ৫০০ মানুষ বসবাস করছে।

শেলটেকের নতুন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি জানান, ঢাকা শহরের সর্বাধুনিক প্রকল্প হিসেবে মিরপুরে শেলটেক বিথীকা এবং উত্তর বাড্ডায় শেলটেক রেনু-কবির টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। শেলটেক বিথীকায় থাকছে- একটি সুইমিংপুল, নারী ও পুরুষের জন্য দু’টি আলাদা জিমনেসিয়াম, ২০০ অতিথির জন্য কমিউনিটি স্পেস, নামাজের স্থান, জগিং ট্র্যাক, বাচ্চাদের খেলার জায়গা এবং বৃষ্টির পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

অপরদিকে গুলশান থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে বাড্ডা এলাকায় শেলটেক রেনু-কবির টাওয়ার। এ প্রকল্প দু’টিতে অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে। তবে নির্মাণের গুণগতমান বারিধারা, গুলশান, বনানী বা ধানমন্ডি এলাকায় নির্মিত প্রকল্পের চেয়ে কোনো অংশ কম নয়।

চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেলটেক শুধু আবাসন ব্যবসা নয়, নতুন নতুন বিভিন্ন ব্যবসায় হাত দিচ্ছে। আমরা শেলটেক ব্রোকারেজ হাউজ করেছি। আমরা যখন ব্রোকারেজ হাউজ করি, তখন আমরা ছিলাম ১৫৭ নম্বরে। এখন নিয়মিত ১০-এর নিচে থাকছি। আমরা শিগগির শেলটেক সিরামিক চালু করবো। আশা করছি ৩-৪ বছরের মধ্যে শেলটেক সিরামিক বাজারে আসবে।

এমএএস/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন