এডিপি বাস্তবায়নে চলমান প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এ জন্য এডিপিতে চলমান প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ বিষয়ে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, এ বছর এডিপির সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা তৈরি যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে চলমান প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার বাধা থাকলে তা দ্রুত সমাধান ও নিজেদের ব্যয় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এদিকে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে প্রতি তিন মাস পর পর বাজেট বাস্তবায়নের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা নির্ণয় করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে অর্থবিভাগ থেকে।
জানা গেছে, সরকার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বছরে অসমাপ্ত উন্নয়নকাজগুলো শেষ করতে চায়। এর মাধ্যমে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়াতে চায় সরকার। শুধু তাই নয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অর্থবছর শেষে বাজেট বাস্তবায়নে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি করতে চায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এডিপি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ইতোমধ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বাজেট বাস্তবায়নের কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। বাজেটে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বাজেট বাস্তবায়নে কাজ করছে।
জানা গেছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাস্তবায়িত এডিপির চেয়ে বেশি। ওই বছরের প্রথম সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আইএমইডির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ওই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা।
এমএ/আরএস/জেআইএম