মাছ রফতানিতে আয় বেড়েছে
মাছ রফতানিতে আয় বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এই অর্থ চলতি বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে শুধু চিংড়ি রফতানিতে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মোট হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এতে জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৭ মাসে ৩০ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানি আয় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এ খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩২ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৭-১৮ অর্থবছরেরর প্রথম ৭ মাসে জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে জীবিত মাছ রফতানিতে আয় ৫৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে হিমায়িত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে রফতানিতে আয় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে চিংড়ি রফতানি করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর এই সময়ে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে চিংড়ি রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রফতানি করে আয় ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
আলোচ্য সময়ে কাঁকড়া রফতানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
এমএ/এনএফ/পিআর