ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

চীনকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে ডিএসইর প্রস্তাব বিএসইসিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চীনের দুই প্রতিষ্ঠান সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয় বলে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী এখন বিএসইর অনুমোদন পেলে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামের কাছে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ডিএসই। তবে বিএসইসি যদি অনুমোদন না দেয় তাহলে এই কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে পারবে না ডিএসই।

ডিএসইর পর্ষদ চীনের এই দুই প্রতিষ্ঠান দু’টিকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। ওই সিদ্ধান্ত নেয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন পেতে প্রস্তাব জমা দেয়া হলো।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে ডিএসইর শেয়ার কিনতে দু’টি কনসোর্টিয়াম টেন্ডারে অংশ নেয়। এর মধ্যে একটি হলো সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম এবং অন্যটি হলো ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক।

সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এ জন্য কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চেয়েছে ২২ টাকা। এর পাশাপাশি ডিএসইকে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম।

আর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।

ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারীর টেন্ডারে অংশগ্রহকারীদের দরপত্র ওপেন করা হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে শেয়ারের সর্বোচ্চ দর এবং কারিগরি সহায়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্রস্তাব দেয়ায় ডিএসই পর্ষদ ওই দিনই চীনের দুই প্রতিষ্ঠান সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে এই কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ডিএসইর পর্ষদ।

তবে ডিএসইর এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বসে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা অপর কনসোর্টিয়ামকে (ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক) কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে চাপ দেয়। এই কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে বলেও ডিএসইর পর্ষদকে জানায়। ফলে কৌশলগত বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করতে আরও একটি পর্ষদ সভা করে ডিএসই। ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই পর্ষদ সভাতেও ভারতকে বাদ দিয়ে শুধু চীনের দুই প্রতিষ্ঠানকেই কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পর্ষদ। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই বিএসইসির অনুমোদন পেতে বৃহস্পতিবার প্রস্তাব জমা দেয়া হয়েছে।

এমএএস/এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন