টেকসই উন্নয়নে আর্থিক অসঙ্গতি দূর করা জরুরি
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসঙ্গতি দূর করা জরুরি বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলেন, অর্থনৈতিক কাঠামোর ছোট ছোট অসঙ্গতিগুলো দূর করে টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্কের (সানেম) দুই দিনব্যাপী অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের প্রথম দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, এসডিজির গোল অর্জনে একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়া থাকতে হবে। এসডিজি প্রক্রিয়ার বিষয়গুলোও জনসম্মুখে উঠে আসা জরুরি, যার মাধ্যমে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কি-না তা বোঝা যাবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে যা আরও বাড়বে।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট-এর অধ্যাপক ড. কুনাল সেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেরই বড় ধরনের আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমের সুখকর অভিজ্ঞতা নেই। উন্নয়নের সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাতে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং তা কার্যকরভাবে ব্যয় প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, এমডিজি পিরিয়ডে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যে পারফরমেন্স ছিল, সে তুলনায় এসডিজি অর্জন করতে হলে উদ্যোগগুলো আরও শক্তিশালী হতে হবে। তা না হলে এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে জনগণের ব্যয়ভার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থায় সক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রের নজর দেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশের অবস্থান ঊর্ধ্বমুখী তবে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের প্রচুর লোক এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে। প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্যতা কমাতে পারছে না, এটি এখনও কর্মসংস্থানমুখী হয়নি। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থান বাড়েনি। এমডিজির সময়ে আমরা সফল হয়েছি কিন্তু এসডিজির ব্যাপ্তি এবং চ্যালেঞ্জ কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি। তাই গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে বড় কৃতিত্বের জন্য নতুন প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এমএ/এএইচ/এমআরএম