ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতবছরের চেয়ে যথেষ্ট ভালো : এমসিসিআই

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কৃষি, সেবা ও শিল্পসহ উপখাতগুলোতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বিগত অর্থবছরের তুলনায় ভালো হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছর ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। রফতানিতে বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারা চলমান রয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) বাংলাদেশের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এমন অভিমত তুলে ধরেছে। বর্তমান অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের ওপর এই পর্যালোচনা।

এমসিসিআই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাস তুলে ধরে বলেছে -প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তবে সংগঠনটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রাক্কলিত পূর্বাভাসের তথ্যও তুলে ধরেছে। সংস্থা দু’টির মতে এবার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে সরকার জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এমসিসিআই বলছে, বাংলাদেশকে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রফতানি এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ জন্য সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বন্দর সুবিধা ও গ্যাস-বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আস্থা বাড়াতে উন্নয়ন প্রকল্প বিলম্বে বাস্তবায়ন পরিস্থিতির পরিবর্তন ও দক্ষ মানবসম্পদের অভাব এবং শিল্পের প্রয়োজনীয় জমির স্বল্পতা দূর করতে হবে।

দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, স্বল্প মেয়াদে বিদ্যুৎ স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে সরকার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির টেকসই উন্নয়নে এখনও অনেক কিছু করতে হবে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মোট বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ১০ হাজার মেগাওয়াট কিন্তু ওইদিন উৎপাদন ছিল চাহিদার তুলনায় কম-৭ হাজার ৮১২ মেগাওয়াট।

দেশের পুরনো এই ব্যবসায়ী সংগঠনের মতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে আমরা যথেষ্ট ভালো করছি। এ বছর এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধিও ভালো। তবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আগের মতই রয়েছে।

আরএস/এমএস

আরও পড়ুন