ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাহার হতে পারে কার্গো নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহন বন্ধ (কার্গো নিষেধাজ্ঞা) রয়েছে। একের পর এক বৈঠক ও অডিট হলেও প্রত্যাহার হয়নি কার্গো নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেখানো হচ্ছে নানা অজুহাত। জুড়ে দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন শর্ত।
তবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান। তিনি বলেন, আশা করেছিলাম চলতি বছরের শুরুতেই যুক্তরাজ্য আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই বরং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নতুন করে কিছু শর্ত দিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে তাদের ক'জন প্রতিনিধি নিয়োগের শর্তটি উল্লেখযোগ্য। তবে আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাজ্য।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আসছে ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সিকিউরিটি এজেন্সি। এছাড়া গত নভেম্বরে অডিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগ। ডিসেম্বরে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীর লন্ডন সফরে যুক্তরাজ্য আশ্বস্ত করেছিল নতুন বছরের শুরুতেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বিমানবন্দরে নিরাপত্তার মান আন্তর্জাতিক ষ্টান্ডার্ড। তিনি বলেন, যেকোনো সময় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ঘাটতির কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৮ মার্চে যুক্তরাজ্য ও এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে তৃতীয় দেশ হয়ে বাংলাদেশকে এসব দেশে পণ্য রফতানি করতে হয়। এতে কার্গো খাতে অনেকাংশে ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি এ খাতে কমেছে আয়।
আরএম/ওআর/এমএস