পুরাতন বাইক নিয়ে নতুন বাইক
পুরাতন মোটরসাইকেল (বাইক) দিয়ে নতুন মোটরসাইকেল নেয়ার সুযোগ রয়েছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। মেলার দুই নম্বর ঝর্ণার পাশে ভিআইপি গেট সংলগ্ন বটতলায় অবস্থিত শফিক মোটরস’র স্টল থেকে এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
স্টলটির ম্যানেজার মো. রাজন বলেন, হিরো, বাজাজ, সুজুকি, টিভিএস, ইয়ামাহা, হুন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন মোটরসাইকেল দিয়ে আমাদের কাছ থেকে নতুন মোটরসাইকেল নেয়া যাবে। এজন্য আগ্রহীদের পুরাতন মোটরসাইকেলের পাশাপাশি কিছু নগদ অর্থ দিতে হবে। আবার নতুন মোটরসাইকেল না নিয়ে পুরাতনটি বিক্রি করে নগদ অর্থ নেয়ারও সুযোগ থাকছে।
তিনি বলেন, মেলার পাশাপাশি আগ্রহীরা এ সুযোগ মেলার বাইরে থেকেও নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাংলামোটরে অবস্থিত আমাদের প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। পুরাতন মোটরসাইকেলের কেমন দাম পাওয়া যাবে তা নির্ভর করবে সেটির কন্ডিশনের ওপর।
রাজন বলেন, পুরাতন মোটরসাইকেল দিয়ে নতুন মোটরসাইকেল বদলের পাশাপাশি মেলাতে মরুভূমিতে চলাচলের কার, বিচ বাইক, গলফ কার, স্পিডবোট, ফোল্ডিং বাইসাইকেল বিক্রি হচ্ছে। এগুলো পেতে হলে আগ্রহীদের অগ্রীম অর্ডার করতে হবে। অর্ডার করলে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পণ্যটি এনে দেয়া হবে। অর্ডারের সময় ওই গাড়ির যা মূল্য তার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে।
বাইকের দামের বিষয়ে রাজন বলেন, মেলা থেকে ক্রেতারা ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে আরকেএস-১০০ মোটরসাইকেল নিতে পারবেন। বাইকটির প্রকৃত মূল্য এক লাখ দুই হাজার টাকা। এক লাখ ৬০ হাজার টাকার আরকেএস-১৫০ পাওয়া যাবে এক লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকায়। এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের সুপারলাইট-১৫০ পাওয়া যাবে এক লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকায়।
বিচ বাইকের বিষয়ে তিনি জানান, তিন লাখ টাকা ও সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের দুটি বিচ বাইক আছে। মরুভূমিতে চলাচলের জন্য কার কিনতে খরচ পড়বে নয় লাখ টাকা। গলফার কার আছে সাড়ে আট লাখ টাকা থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকার মধ্যে। স্প্রিডবোট আছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা থেকে ৪৫ লাখ টাকা মধ্যে। ফোল্ডিং বাইসাইকেলের মূল্য পড়বে ৪৫ হাজার টাকা। এটি প্যাডেল চেপে চালানো যাবে, আবার চার্জারের মাধ্যমেও চালানো যাবে।
বিক্রি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজন বলেন, মেলায় ভালোই সাড়া পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে আরকেএস-১০০ মোটরসাইকেলটি। এখন পর্যন্ত ৬০টির মতো মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে।
এমএএস/এমএআর/এমআরএম