বীমা খাতের দুর্নীতি দমনে আইনের সংশোধন চায় দুদক
বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই বীমা আইন ২০১০ এর ১৫৮ ধারার সঙ্গে ১৫৮ক ধারা সংযু্ক্ত করার প্রস্তাব করেছে দুদক।
আইনের এ সংশোধনীর বিষয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বীমা আইনে নতুন এ ধারাটি সংযুক্ত হলে বীমা কোম্পানিগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি বীমা কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারী পাবালিক সারভেন্ট হিসেবে গণ্য হবেন।
সূত্র মতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তুর্ভুক্ত করতে সংশোধনীর এ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় দুদক। এরপর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়।
এর আগে ২৬ জুলাই ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত কমিশনের ০৩/২০১৭তম সভায় বীমা আইন ২০১০ সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এতে বলা হয়, বীমা কোম্পানিসমূহ বীমা সংক্রান্ত কাজ সম্পাদন করলেও মূলত: জনগণের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করাই তাদের কাজের প্রকৃতি। সে কারণে তাদের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল বৈশিষ্ট বিদ্যমান। কিন্তু ১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ধারা ২ এ বর্ণিত সজ্ঞায় তাদেরকে অন্তুভুর্ক্ত করা হয়নি।
এ ছাড়া, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ১১০ এর ধারা ১১০ এ ব্যাংক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়েছে কিন্তু বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সদস্য ও কর্মকর্তাদের পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
অন্যদিকে এ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে দুদক জানায়, বীমা কোম্পানিসমূহের বিরুদ্ধে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বীমা কোম্পানিসমূহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য না থাকায় এবং বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে গণ্য না থাকায় এসব অভিযোগের কোনো প্রতিকার সম্ভব হচ্ছে না।
সে কারণে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সালের ১৪ নং আইন) এর ধারা ১১০ এর অনুসরণে বীমা কোম্পানি আইন, ২০১০ এর ধারা ১৫৮ এর পর প্রস্তাবিত আকারে ধারা ১৫৮ক সন্নিবেশ পূর্বক সংশোধন আবশ্যক।
এমএএস/এএইচ/জেআইএম