ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

২০১৯-২১ সালকে ‘অবকাঠামো বিনিয়োগ বছর’ ঘোষণার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

২০১৯-২১ সালকে ‘অবকাঠামো বিনিয়োগ বছর’ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বুধবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে চেম্বারের পর্ষদের সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।

সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও সংস্কারে অধিকহারে গুরুত্বারোপ এবং ত্বরান্বিতকরণের জন্য ২০১৯-২১ সালকে ‘অবকাঠামো বছর’হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেন।

বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ ২৩.১ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে উন্নীতের পাশাপাশি ডুইং বিজনেস র্যাকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শুল্ক কাঠামোর সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দক্ষ জনসম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান।

ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশে জিডিপির ২.৮৭ শতাংশ অবকাঠামো খাতে ব্যয় করে এবং এটাকে জিডিপির ৫ শতাংশ উন্নীতকরণ ও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র অবকাঠামো খাতে ৩২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণের প্রস্তাব করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বিডা প্রস্তাবিত ‘ওয়ান-স্টপ’ সার্ভিস দ্রুত চালুকরণ এবং বেজা ও বেপজা পরিচালিত সেবা সমূহের সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান জানান। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সম্ভাবনাময় খাত সমূহ চিহ্নিতকরণের জন্য এবং সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে ‘এফডিআই প্রোমশন টাস্ক ফোর্স’ গঠনে তিনি বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক আর্থিক খাত এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সাফল্য অর্জন করতে পারেনি এবং এ খাতের নীতিমালা সংস্কার ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের প্রয়োজন।

তিনি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুয়িটি এবং এঞ্জেল ইনভেস্টমেন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছর করমুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের কর ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালায় সব উদ্যোক্তাদের জন্য সমতা থাকা একান্ত জরুরি। প্রতিবছর দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বেতন-ভাতায় প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় এবং এ ক্ষেত্রে যদি দেশের নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে সহজেই এ পরিমাণ টাকা দেশের অভ্যন্তরে রাখা সম্ভব।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, এফসিএ, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, এস এম জিল্লুর রহমান এবং ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এএইচ/আইআই

আরও পড়ুন