চার বছরে আয়কর আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৪ বছরে আয়কর আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৬৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩ সালের জুনে আয়কর বাবদ আহরণ করা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণ ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রায় দ্বিগুণে দাঁড়ায়। ২০১৩ সালে দেশে রেজিস্টার্ড কর দাতার সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ লাখ। এ সংখ্যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখে। শুধু করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, করদাতাদের কর প্রদানের সক্ষমতার হারও বেড়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর ও আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় আমদানি শুল্ক প্রদানের সক্ষমতা বেড়েছে। ২০১৩ সালের জুন মাসে আমদানি শুল্ক ও মূসক আহরণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩২ হাজার ৩১৩ কোটি ও ৩৯ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ৩৩০ কোটি ও ৬৬ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা, আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা, আহরণ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা, আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭শ’ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এইচএস/এমআরএম/এমএস