ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ফিরে গেলেন সহস্রাধিক লোক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০১ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

কদিন পরই শেষ হবে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তাই সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানী ও আশপাশের বাসিন্দাদের ঢল নামে এই মেলায়। যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। এদিন মেলামুখী মানুষের ঢল এতটাই ছিল যে সহস্রাধিক দর্শনার্থী ও ক্রেতা মেলার ভেতরে প্রবেশ না করেই ফিরে গেছেন।

মেলা মাঠের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের মালিক মীর শহিদুল আলমের মতে, শুক্রবার হাজারের অধিক দর্শনার্থী মেলার মাঠে প্রবেশ না করেই সামনে থেকে ফিরে গেছেন। এদের অনেকেই গাড়ি পার্কিং করতে না পেরে আবার অনেকেই ভিড় দেখে মেলায় প্রবেশ করেননি।

trade1মেলার গেটে দায়িত্ব পালন করা এবং মেলায় অংশ নেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জানিয়েছেন, ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকালে মেলার গেট খুলে দেয়ার পরপরই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে থাকেন। জুমার নামাজের পর নামে মানুষের ঢল। দেখতে দেখতে ভরে যায় মেলা প্রাঙ্গণ।

বিকেল ৪টার পর দর্শনার্থীদের ঢল মেলা প্রাঙ্গণ থেকে গেটের সামনের ফাঁকা স্থান হয়ে আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে দর্শনার্থীদের নিয়ে আসা গাড়িও ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার বিভিন্ন দিকে। এতে মেলাকেন্দ্রিক রাস্তাগুলোতে ব্যাহত হয় যান চলাচল। ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আবার অনেকে মেলার মাঠের সামনে এসে গাড়ি পার্কিং করতে ব্যর্থ হন। ফলে মেলার ভেতরে প্রবেশ না করেই ফিরে যান।

গাজীপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি করে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ মেলায় আসেন মো. মানিক মিয়া। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হন। সেখান থেকেই দায়িত্ব পালনকারীদের কাছ থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের টিকিট নেন। কিন্তু সামনে এগিয়ে দেখেন গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। দায়িত্ব পালনকারীদের কাছে সমস্যার কথা বলেও কোনো ফল পাননি। ফলে বাধ্য হয়েই মেলায় প্রবেশ না করে গাজীপুরের উদ্দেশে ফিরে যান।

tread-fairএকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা মানিক মিয়া বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই, তাহলে তো মেলার রাস্তায় প্রবেশের আগেই ফিরিয়ে দেয়া উচিত ছিল। পার্কিংয়ের টিকিট দেয়ার পরও গাড়ি পার্কিং করতে পারছি না, এটা কেমন কথা। কাউকে বলেও লাভ হচ্ছে না। এমন অব্যবস্থাপনা থাকলে তো মেলার সৌন্দর্যই নষ্ট হবে।

যাত্রাবাড়ী থেকে পরিবারসহ মোটরসাইকেলে করে মেলায় আসা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করেও বাইক পার্কিং করতে পারিনি। তাই মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করেই ফিরে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে কারওয়ানবাজারে আসতে ১৫ মিনিটের মতো লেগেছে। আর বাকি রাস্তাটুকু আসতে লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এই যানজট ঠেলে এসেও মেলায় প্রবেশ করতে পারছি না।

মেলার গেটে দায়িত্বপালন করা একাধিক কর্মী বলেন, গত শুক্রবার যে পরিমাণ দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করেছিল আজ (১৯ জানুয়ারি) তার দ্বিগুণের বেশি। অন্যদিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দর্শনার্থী প্রবেশ একেবারে কমে যায়। কিন্তু দর্শনার্থী প্রবেশের ভিড় ছিল প্রায় ৯টা পর্যন্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ দর্শনার্থী মেলার মাঠে প্রবেশ করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মেলা মাঠের ইজারাদার মীর শহিদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল ৫টার মধ্যে এক লাখের মতো টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু এরপর টিকিট খুব একটা বিক্রি হয়নি। অনেকেই মেলার সামনে থেকে ঘুরে চলে গেছেন। মেলায় প্রবেশ না করে ফিরে যাওয়ার সংখ্যা হাজারের অধিক হবে।

মেলায় গাড়ি পার্কিংয়ের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক দর্শনার্থী গাড়ি পার্কিং করতে পারেনি এ কথা সত্য। গাড়ি পার্কিংয়ের সমস্যার কারণে অসংখ্যা দর্শনার্থী ফিরে গেছেন। আসলে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তবে পূর্বাচলে মেলার আয়োজন করা হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এমএএস/জেডএ

আরও পড়ুন