পাঁচ লাখ টাকায় ইরানি জাফরান
যে কোনো খাবারে এক টুকরা জাফরান ব্যবহার এর স্বাদ ও রঙে ভিন্নমাত্রা নিয়ে আসে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রূপচর্চা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ইরানের অরিজিনাল জাফরানের সুনাম সবারই জানা।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ইরানি বাহারি পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে ৪১ নম্বর প্যাভিলিয়নে। সেখানে মো. আনোয়ার নামের এক বিক্রয়কর্মীকে দর্শক-ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা যায়।
তিনি জানান, ইরানের বিভিন্ন মসলা বিক্রি করছেন তারা। সবগুলোই অরিজিনাল। ছোট একটি কাচের কৌটা হাতে নিয়ে বলেন, এটি ইরানি জাফরান। এক গ্রামের মূল্য ৫০০ টাকা। সে হিসেবে এক কেজি জাফরানের মূল্য দাঁড়ায় পাঁচ লাখ টাকা। এর সামান্য ব্যবহার খাবারের স্বাদ ও রঙে ভিন্নমাত্রা নিয়ে আসে। এ জাফরান দিয়ে অনেক ধরনের চিকিৎসাও দেয়া হয়।
এতো দামের মসলা কেউ কেনেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ার বলেন, বিক্রি না হলে কি এভাবে প্রচার করি? দাম একটু বেশি মনে হলেও এক গ্রাম জাফরান দিয়ে অনেক কাজ করা যায়। এগুলো কেনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট লোক আছে। তারাই সংগ্রহ করেন। তাদের কাছে মূল্যটা বড় বিষয় নয়, অরিজিনাল কিনা- সেটাই মুখ্য। মেলার শুরু থেকে আমাদের বিক্রিও বেশ- উল্লেখ করেন তিনি।
এখানে প্রতি কেজি জিরা ৬০০ টাকা, এলাচ ২৪০০, কালো গোলমরিচ ১০০ গ্রামের মূল্য ১৫০ টাকা, লবঙ্গ ১০০ গ্রাম ২২০, জয়ত্রী ১০০ গ্রাম ১৫০, সাদা গোলমরিচ ১০০ গ্রাম ১৫০, জয়ফল ১০০ গ্রাম ১৫০, দারুচিনি ১০০ গ্রাম ১৫০ এবং তেজপাতা ১০০ গ্রাম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মসলাই প্যাভিলিয়নটিতে পাওয়া যাচ্ছে।
মসলার বিশেষত্ব সম্পর্কে বিক্রয়কর্মী জুলিয়া বলেন, এসব মসলার উৎপাদন মূলত ইরান, তুর্কিস্তান ও সিরিয়া। ইন্ডিয়ান মসলাও এখানে পাওয়া যাচ্ছে। ইরানের মসলা পৃথিবীব্যাপী বিখ্যাত ও সমাদৃত। এসব মসলার চাহিদা বাংলাদেশেও বেশ।
‘মেলার প্রথম ১৫ দিনে বেচাবিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আশা করি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরো ভালো হবে।
এমইউএইচ/এমএআর/বিএ