মেলায় থাইল্যান্ডের তাজা ফল
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের তাজ ফলের পসরা সাজিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। এসব ফল দেখতে যেমন বাহারি নামও তেমন। লংডাম, রামবুটাম, পারসিমনি, ড্রাগন, ডুরিয়ানসহ বিভিন্ন ফল পাওয়া যাচ্ছে স্টলগুলোতে। পাশাপাশি আছে আম, তেঁতুলও। তবে দাম একটু বেশি। ইচ্ছা করলে সাধারণের পক্ষে তা কেনা সম্ভব নয়। কোনো ফলের কেজি ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না।
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের মতো দেখতে ডুরিয়ান। কাঁঠালের মতোই গায়ে কাটাকাটা এ ফলের ভেতরেও কাঁঠালের মতো কোয়া। ঘ্রাণও কাঁঠালের মতো। থাইল্যান্ড থেকে আনা এ ফল মেলায় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা ফলের (ঢ্যাপ) মতো দেখতে ড্রাগন। ঢ্যাপের মতো এ ফলের ভেতরে কালো গুঁড়ি গুঁড়ি বিচি আছে। স্বাদে কিছুটা মিষ্টি। মেলায় প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পারসিমনি। ফলটি দেখতে আপেলের মতো, তবে রঙ হলুদ। লিচু জাতীয় ফল রামবুটাম বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে লটকনের মতো দেখতে লংডাম।
এসব ফলের পাশাপাশি রয়েছে আম ও তেঁতুল। প্রতি কেজি কাঁচা ও পাকা আম বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। মিষ্টি তেঁতুল বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সাকুরা প্লাম।
মেলার ৫১ নম্বর প্যাভিলিয়নে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ফলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ী মো. ইদ্রীস আলী। তিনি বলেন, আমি টানা ২৩ বছর বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করছি। প্রতি বছর মেলাতে থাইল্যান্ডের ফল আনি। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মসলা বিক্রি করি।
ফলের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ফল থাইল্যান্ড থেকে আনতে হয়। এগুলো খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। থাইল্যান্ডে এগুলো খুবই জনপ্রিয়। সেখানে এসব ফলের বেশ দাম। সে জন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এসব ফল তো মানুষ প্রতিদিন খাবে না। শখ করে দু-একদিন খাবে।
বিক্রি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রি মোটামুটি ভালো। তবে গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। এরপরও আমরা যে ফল এনেছি মেলা শেষ হওয়ার আগেই সব বিক্রি হয়ে যাবে। একটি ফলও থাকবে না। মেলার বাইরে আমরা এসব ফল বিক্রি করি না।
প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডানদিকে গেলে দেখা মিলবে থাই প্যাভিলিয়ন-৫। এ প্যাভিলিয়নে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ফল বিক্রি করছেন মো. সালাউদ্দিন। বলেন, রামবুটাম থাইল্যান্ডে খুবই জনপ্রিয়। মালয়েশিয়াতেও এ ফল বেশ চলে। থাই লিচুও বলা হয়। মেলায় ৭০০ টাকা কেজি দরে এ ফল বিক্রি করছি। অণ্য সব ফলের দামও প্রায় একই।
বিক্রির পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার ভালো, তবে অন্য দিনগুলো খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। আশা করছি, আসছে দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে।
এমএএস/এমএআর/আরএস