ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৮

টানা দরতপন দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দরপতনের ধারা মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।

টানা দরপতনের আগে শেয়ারবাজারে টানা উত্থান দেখা দেয়। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী ছিল বাজার। এ ছয় কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান ‍মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১৫৯ পয়েন্ট। আর শেষ চার কার্যদিবসের দরপতনে সূচকটি কমেছে ১২০ পয়েন্ট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা উত্থানের কারণেই টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক ধর্ম। টানা উত্থানের কারণে শেয়ারের যে দাম বাড়বে, এরপর নিম্নমুখীতার মাধ্যমে সেই দামের কিছুটা সংশোধন হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা স্বাভাবিক দরপতন। টানা উত্থানের কারণে এ দরপতন হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে টানা উত্থান বা পতন কোনটাই শেয়ারবাজারের জন্য ভালো লক্ষণ না। মাঝে মধ্যে সূচক বাড়বে, আবার কমবে এটাই হলো শেয়ারবাজারের সাধারণ ধর্ম।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৫৪টির, আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টির দাম। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১১৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দাম।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৭ কোটি ১২ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭৭ কোটি ৫৫ টাকার শেয়ার।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে আজ সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। আর ১৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস, ইফাদ অটোস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং এবং গ্রামীণ ফোন।

মঙ্গলবার অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৩০ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন বাজারটিতে ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।

এমএএস/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন