কারণ ছাড়াই বাড়ছে মেঘনা পেটের শেয়ারের দাম
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেটের শেয়ারের দাম বাড়ার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৭ জানুয়ারি নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে সোমবার কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকেই মেঘনা পেটের শেয়ারের দাম টানা বেড়েছে। ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা ৮০ পয়সা, যা টানা বেড়ে ৭ জানুয়ারি দাঁড়ায় ২১ টাকা ৮০ পয়সায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মেঘনা পেটের মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারীর কাছে এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার নেই।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। চলতি হিসাব বছরেও (২০১৭-১৮) কোম্পানির লোকসানের ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (২০১৭ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) লোকসান হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ পয়সা।
বিনিয়োগকারীদের জন্য মেঘনা পেটের ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি আয় এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যের তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতি বছরই কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে এবং সম্পদ মূল্যও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির সব সম্পদ বিক্রি করলেও দায় পরিশোধ হবে না।
২০১৩ সালে মেঘনা পেটের শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫০ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ঋণাত্মক ১ টাকা ৫২ পয়সা। পরের বছর ২০১৪ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৪৭ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়ায় ঋণাত্মক ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
এভাবে প্রতিবছরই কোম্পানিটি লোকসান করছে আর সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক হওয়ার হার বাড়ছে। ২০১৫ শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৪১ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়ায় ঋণাত্মক ২ টাকা ৪০ পয়সা, ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক ২ টাকা ৮০ পয়সা। আর সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৩ টাকা ২০ পয়সা।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম