ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
টানা দরপতনের পর ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। টানা দুই সপ্তাহ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক এবং দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে। এর আগে টানা চার সপ্তাহ শেয়ারবাজারে দরপতন হয়।
শেষ সপ্তাহে (১-৪ জানুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৬১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ৫২ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিগত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৩১টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।
এ সময়ে মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনও। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৫১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৭৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
গড় লেনদেনের পাশাপাশি মোট লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৬৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলি ডে থিাকায় গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। আর আগের সপ্তাহে বড়দিনের বন্ধের কারণে ২৫ ডিসেম্বর লেনদেন হয়নি। ফলে পর পর দুই সপ্তাহ শেয়াবাজারে এক কার্যদিবস করে লেনদেন কম হয়েছে।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি লেনদেনের ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ছিল ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে গত সপ্তাহে মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ২২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্রাগণ সোয়েটারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৯১ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুরমা সিমেন্ট।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ইফাদ অটোস, ন্যাশনাল টিউবস এবং সিটি ব্যাংক।
এমএএস/এমএমজেড/পিআর