ছয় কার্যদিবস পর নিম্নমুখী শেয়ারবাজার
টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। দুই বাজারেই কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
মূল্য সূচক ও লেনদেনের পাশপাশি এদিন উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির।
অপর বাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০৭ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৭৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্রাগন সোয়েটারের ১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, বারাকা পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফারা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রেনেটা এবং লিগাসি ফুটওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২৮ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৭৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআরএম/আইআই