ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বড় প্রতিষ্ঠানে ‘বেচাবিক্রি’ বেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৮

পর্দা উঠেছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। সোমবার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরপরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের স্টলে পণ্য বিক্রি শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ চিনিগুড়া সুগন্ধি চালের স্টল, ইটালিয়ান, প্রাণ ফ্রুটো, অল টাইম, মিস্টার নুডলস, ভিশন ইলেকট্রনিক্স, বেস্ট বাই, রিগাল ফার্নিচারের স্টলসহ ইফাদ মাল্টি প্রডাক্টস, সনি ইলেকট্রনিক্স, বেঙ্গল, ব্রাদার্স ফার্নিচার, হাতিল ফার্নিচার, ওয়াল্টন, নাবিস্কো, নাভানা, কোকাকোলা ফুডসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোতে মেলার প্রথম দিন থেকেই পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্যাভিলিয়ন ও স্টল দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্যাভিলিয়ন ও স্টলে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছে নিজেদের পণ্য। দর্শনার্থীরা এসে সেসব পণ্য ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সঙ্গে জানতে চাচ্ছেন মেলা উপলক্ষে কী কী অফার রয়েছে। কেউ কেউ পছন্দের পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিছু ছোট প্রতিষ্ঠানও তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি শুরু করেছে। তবে প্রথম দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি ছিল নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলে।

মেলায় কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হয়েছে প্রাণ চিনিগুড়া সুগন্ধি চালের স্টল। স্টলটির সামনের গেট তৈরি হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের আদলে বাঁশ দিয়ে। সেই সঙ্গে গেটের চারপাশ এবং ওপরের অংশে শোভা পাচ্ছে লাউগাছ ও লাউ। দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে প্রাণ ফ্রুটোর স্টলও। স্টলটির সমনে গেলেই চোখে পড়বে প্রাণ ফ্রুটোর দুটি বড় বোতল।

বাণিজ্য মেলার প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু সামনে এগোলেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। প্রথম দিনে এটি পুরোপুরি প্রস্তুত করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নটির পাশেই রয়েছে ভিশন ইলেকট্রনিক্সসের দৃষ্টিদন্দন প্যাভিলিয়ন। বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন থেকে একটু পূর্বদিকে গেলেই চোখে পড়বে রিগাল ফার্নিচারের প্যাভিলিয়ন। আর একটু এগোলেই চোখে পড়বে প্রাণ ফ্রুটো ও মিস্টার নুডলস’র স্টল, তার পাশেই আছে প্রাণ চিনিগুড়া সুগন্ধি চালের স্টল।

d

মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু সামনে এগোলেই চোখে পড়বে প্রাণ ও আরএফএল’র স্টল। প্রাণের স্টলের বিপরীতে রয়েছে ইটালিয়নের প্যাভিলিয়ন।

মেলার ৪৯ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নে রয়েছে প্রাণের স্টল। কথা হয় স্টলটির ইনচার্জ জিয়াউল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের প্যাভিলিয়ন অনেক আগেই শতভাগ প্রস্তুত হয়েছে। মেলা উদ্বোধনের পরপরই আমরা বিক্রি শুরু করেছি। মেলা উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বেশকিছু অফার আছে। প্যাভিলিয়নটিতে প্রায় সাড়ে তিনশ আইটেমের পণ্য রয়েছে।

প্যাভিলিয়নটি থেকে পণ্য কেনা সালমা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, আমার বাচ্চারা প্রাণের চকলেট খুব পছন্দ করে। সে কারণে আমি সব সময় প্রাণের চকলেট কিনি। আজ মেলার প্রথম দিনে ঘুরতে এসে বাচ্চাদের জন্য চকলেট কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

বেঙ্গলের সঞ্জিত ইব্রাহিম বলেন, আমাদের প্যাভিলিয়ন শতভাগ প্রস্তুত। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা এসে ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখতে পারবেন এবং এখন থেকেই তা ক্রয় করতে পারবেন।

আরএফএল’র ৫৬ নম্বর প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ সঞ্জয় শিকদার বলেন, আমাদের স্টল থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসছেন। ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখছেন। ক্রেতারা চাইলে এ প্যাভিলিয়ন থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। আমাদের হোম ডেলিভারির সুযোগও রয়েছে।

ব্রাদার্স ফার্নিচারের এ বি এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের স্টল শতভাগ প্রস্তুত। তবে এখান থেকে আমরা কোনো পণ্য বিক্রি করছি না। ক্রেতারা আমাদের পণ্য কিনতে চাইলে এখানে অর্ডার দিয়ে যাবেন, এরপর আমরা হোম ডেলিভারি করবো।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় একটি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ৬৫টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন, ১৬টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন, ২৩টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ছয়টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, সাতটি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭২টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৩টি বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, ২৫৩টি সাধারণ স্টল, ৩১টি খাবারের স্টল, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি স্টল, একটি বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং মা ও শিশুদের জন্য তিনটি স্টল রয়েছে।

এমএএস/এমবিআর/এমএআর/বিএ

আরও পড়ুন