সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার সবকটি মূল্যসূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে উভয় বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার।
মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির।
অপরবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
বুধবারের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬১ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৭১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৮০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ডিএসইতে টানা দুই কার্যদিবস লেনদেন বাড়লো।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৫ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক।
লেনদেনে এরপরে রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, সিটি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, গ্রামীণ ফোন এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৫৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এমএএস/এমবিআর/এএইচ/জেআইএম