ভরা মৌসুমে খরায় জুতার বাজার
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তানের দেশি পাইকারি জুতার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হাসি নেই বিক্রেতাদের মুখে। রমজান শেষ হয়ে আসছে তারপরও আশানুরূপ তেমন বেচা-কেনা নেই পাইকারি জুতার বাজারে। তাই মূলধন ও শ্রমের বিনিয়োগ নিয়ে বিপাকে আছেন ব্যবসায়ীরা। তাই রোজার বাকি দিনগুলোয় যেন জমজমাট হয়ে উঠে জুতার বাজার -এমনটা প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া থেকে গুলিস্তান এলাকায় দেশি পাইকারি জুতার মার্কেট বলে সারাদেশে পরিচিত। এসব এলাকায় শুধু জুতার জন্য রয়েছে ৮টি মার্কেট। এগুলো হচ্ছে- ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, বঙ্গ মার্কেট, সুপার সিটি, সিদ্দিকবাজার সমবায় মার্কেট, জাকের সুপার মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা এবং বঙ্গবাজারে দেশি জুতার পাইকারি বেচা-কিনি চলে।
সরেজমিনে গিয়ে ফুলবাড়িয়া থেকে গুলিস্তান এলাকায় দেখা যায়, ক্রেতাদের রুচি ও সামর্থ বুঝে ঈদে নতুন মডেল ও হরেক ডিজাইনের জুতা নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতার তেমন সারা নেই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারাবছর রমজানের আপেক্ষায় থাকি। এ জন্য ঋণ করে বাড়তি বিনিয়োগও করেছি। কিন্তু শেষ দশকে রমজান তারপরও তেমন বেচা-কেনা নেই বাজারে। তাই মূলধন ও শ্রমের বিনিয়োগ নিয়ে বিপাকে আছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে। বাজারে সকল পণ্যের দাম বাড়ায় আমরা পড়েছি বিপাকে। বাকি দিনগুলোতে যদি বাজার জমে না উঠে তাহলে মন্দার কবলে পরবে পাইকারি জুতার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের জিহাদ সুজ স্বত্বাধিকারী মো. রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে বাজার এখনো তেমন জমে ওঠেনি। ভরা মৌসুমে এখনো খরা জুতার বাজার। অন্যান্য বার এ সময় বিক্রি করে অবসর পাই না, কিস্তু এবার উল্টো চিত্র। অলস বসে আছি ক্রেতা নেই।
ব্যবসার মন্দা সম্পর্কে রুবেল জানান, চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বাজার দখল করে আছে। এসব সস্তা জুতার ভিড়ে মার খেয়ে গেছে দেশীয় জুতা।
জুতার বেচা-কেনা সম্পর্কে সজনী সুজের বিক্রেতা ইমরান বলেন, ব্যবসা অবস্থা খুবই খারাপ। এবার লাভের চেয়ে লোকসান দিতে হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন দোকান পরিচালনা বাবদ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। তাই বিক্রির চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে।
এসআই/আরএস/আরআইপি