ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ঈদে মার্সেলের নতুন মডেলের পণ্য

প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৫

সামনে ঈদ।  চলছে রোজা।  সঙ্গে গরম।  সব মিলিয়ে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে মার্সেলের ফ্রিজ আর টেলিভিশন।  ঈদেও এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি।  এরইমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে মার্সেলের বিক্রির টার্গেট।  যে কৃতিত্ব দেখাতে পারে নি বাজারে নামি দামি ব্র্যান্ডগুলোও।  উচ্চমান, সাশ্রয়ী মূল্য, আইএসও স্ট্যান্ডার্ড, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশে তৈরি বলে মার্সেলের প্রতি আস্থা বেড়েছে ক্রেতাদের।  বিশেষ করে বড় ডিপযুক্ত মার্সেল ফ্রিজ বাজারে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোক্তাদের ক্রয় প্রবণতা এখন মার্সেলের দিকে।  বাজারে তথাকথিত নামি দামি ব্রান্ড ছেড়ে তারা এখন দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের দিকে ঝুঁকছেন।  হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বিক্রি।  

তাদের মতে, ভোক্তাদের আস্থা অর্জনের মূল বিষয় হচ্ছে মার্সেল পণ্যের গুণগত উচ্চমান।  বলা হয়ে থাকে মার্সেল পণ্য কিনলে বিক্রয়োত্তর সেবা নেয়ার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না, মিস্ত্রির কাছে যেতে হয় না।  মার্সেলের বিভিন্ন পণ্যের রয়েছে অসংখ্য মডেল, ডিজাইন ও কালার। যে কারণে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য, চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী পছন্দসই পণ্য কিনতে পারছেন।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত মার্সেলের শোরুম নেটওয়ার্ক।  ফলে মার্সেল পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতাদের দোরগোড়ায়।

বিক্রেতারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে দেশের সর্বত্র মার্সেল শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ ও টিভি বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকহারে। ঈদ উপলক্ষে মার্সেল বাজারে নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় তিনটি মডেলের নতুন ফ্রিজ।  এগুলো হচ্ছে ২৫৪ লিটার, ২৯৫ লিটার এবং ৩১৭ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফ্রিজ।  এছাড়াও, মার্সেল রমজান মাসে বাজারে এনেছে নতুন মডেলের ২৪ ইঞ্চি ও ৩২ ইঞ্চির এলইডি টেলিভিশন, ২.৮ লিটার এবং ৩.২ লিটারের নতুন মডেলের দুটি রাইস কুকার।  এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে মার্সেলের সিআরটি টিভি, এসি, জেনারেটর, মোটরসাইকেল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি।

মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) মতিউর রহমান বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যে মার্সেল এখন জনপ্রিয় নাম।  ক্রেতারা মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে মূল্যের চেয়েও বেশি উপযোগ পেয়েছেন।  যে কারণে সারাদেশে মার্সেল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।  তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই মার্সেল শীর্ষস্থানে চলে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি পণ্যের চেয়ে এখন দেশি পণ্য অনেক বেশি উন্নতমানের।  আর সেজন্য ক্রেতাদের আস্থা এখন দেশি পণ্যের প্রতিই।

মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, সকল শ্রেণির ক্রেতাদের আয় সক্ষমতা, চাহিদা এবং রুচির ভিন্নতা অনুযায়ী সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় ডিজাইনের নতুন মডেলের ফ্রিজ, টেলিভিশন এবং রাইস কুকার গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

তিনি যোগ করেন, এবারের ঈদকে সামনে রেখে পণ্য বিক্রির যে টার্গেট ছিল মার্সেলের তা এরইমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে।  তার মতে, আধুনিক বিপণন কৌশল গ্রহণের ফলে গ্রাহকদের কাছে দিনদিন মার্সেল ব্র্যান্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  বাজার সম্প্রসারণ এবং মার্কেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মার্সেল সারাদেশকে দুটি প্রধান (উত্তর ও দক্ষিণ) ভৌগলিক অংশে বিভক্ত করে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জানা গেছে, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বাজারে বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল, এসি, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক কেটলিসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বিক্রি আশাতীত বেড়েছে।  

কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্সেল তৈরি করছে বিশেষ ডিজাইনের অসংখ্য কালারের বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজ। মার্সেল ফ্রিজ কিনলে যাতে ক্রেতাদের আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কিনতে না হয় সেজন্য মার্সেলের এই বিশেষ উদ্যোগ।  ক্রেতারাও এ সুযোগ লুফে নিচ্ছেন।  মার্সেল ফ্রিজে ডিইসিএস আলট্রাব্রিড ফোর ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।  প্রযুক্তির বিষ্ময় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করায় মার্সেল ফ্রিজে রক্ষিত খাবার দীর্ঘক্ষণ সতেজ, টাটকা ও জীবাণুমুক্ত থাকছে।  এই ফ্রিজে ৮০ শতাংশ এনার্জি সেভিং এলইডি বাল্ব ব্যবহার করার ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমে যাচ্ছে ৮০ শতাংশ।  এছাড়াও, ছয় মাসের মধ্যে ফ্রিজে কোনো সমস্যা হলে সম্পূর্ণ রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দেয়ায় গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে উছে এসেছে মার্সেল।


এমএএস/এমআরআই