খেলাপি ঋণ গুরুতর সমস্যা : গভর্নর
খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের গুরুতর সমস্যা বলে মন্তব্য করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ। এছাড়া কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ একটি উপস্থাপনা দেন।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ একটি গুরুতর সমস্যা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ সচেতন। তবে হঠাৎ করেই দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। এটা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
বিভিন্ন ভুল প্রতিবেদন সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে গভর্নর বলেন, যেটা সঠিক সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্টস নিয়ে করলেও সঠিক না করলেও সঠিক। কিন্তু যেটা মিথ্যা সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্টস নিয়ে লিখলেও ভুল।
পরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। এ সময় সুর চৌধুরী বলেন, না জেনে আন্দাজে ঢিল দিলে কাঁচা ও পাকা আম দুটুই পড়তে পারে। কিন্তু জেনে বুঝে ঢিল দিলে শুধু পাকা আমই পড়বে। রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রেও সে রকম। জেনে বুঝে রিপোর্টিং করলে সবার জন্যই ভালো। এ জন্যই ব্যাংকিং বিষয়ে জানতে হবে। এ ধরনের কর্মশালাতেই সেটা সম্ভব। তাই আমরাও আগ্রহ নিয়ে কর্মশালাগুলোর আয়োজন করে থাকি।
তিনি বলেন, মিডিয়া এখন অনেক দায়িত্বশীল। রিপোর্টিংয়ের ভুলগুলো কম হচ্ছে। এ ধরনের কর্মশালা চলতে থাকলে সামনের দিনে এ সমস্যা আর থাকবে না।
কর্মশালায় জানানো হয়, পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও আধুনিক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যাতে লেনদেন আরও সহজ হয়। এর মধ্যে একটি হলো, ই-চালান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ২০১৯ সালের মধ্যে চালু হবে। এ ছাড়া ন্যাশনাল গেটওয়ে সিস্টেম ২০২০ সালের মধ্যে চালু হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন এখন অনেক ব্যয় বহুল। এর কারণ দেশে এখনও এখাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়নি। আগামীতে যাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয় সে জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালাকে আরও যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
এসআই/এমএ/এএইচ/এমএস