সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে ৫০ ভাগ
সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্য বীমাসহ বেতন ভাতা বাড়ছে প্রায় ৫০ ভাগ। বেতন বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ গড়ে ৫০ ভাগ হলেও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যমান ২০ ধাপের বেতনক্রম (গ্রেড) কমিয়ে ১০ থেকে ১৫টিতে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে দশ ধাপে বেতন দেয়ার বিধান ছিল। আগামী নভেম্বর মাসে কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে। তবে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী অর্থবছর থেকে। যার বাস্তবায়ন শেষ হবে তিন ধাপে। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে গত বছর ১ জুলাই থেকে চালু করা মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ মহার্ঘভাতা এই নতুন বেতন স্কেল চালু হলে তা মূল বেতনের সাথে সমন্বয় হয়ে যাবে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের দেয়া বেতন স্কেলও বাস্তবায়ন হয়েছিল তিন ধাপে। কমিশন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসছে ঈদুল আযহার পরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সাবেক পে-কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ভূতপূর্ব কমিশন সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করবে বর্তমান বেতন ও চাকরি কমিশন।
প্রসঙ্গত, অষ্টম জাতীয় পে-স্কেল গঠনে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর সরকার সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের কমিশন গঠন করে। গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজধানীর বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে অস্থায়ী অফিসে কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
সরকারি বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে তার অন্যতম দাবি-বেতন বৈষম্য কমিয়ে আনতে বিদ্যমান পে-স্কেলের গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে ১০-এ নামিয়ে আনা। - দৈনিক ইত্তেফাক