ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মংলা বন্দরে নাব্যতা সংকট নিরসনে ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২৭ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

বঙ্গোপসাগর থেকে মংলা বন্দরের চ্যানেলের প্রবেশ মুখে কম গভীর নৌ-পথ বা আউটার বার হওয়ায় সাড়ে আট মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ যেতে পারে না। তাই পশুর চ্যানেলে নির্বিঘ্নে নৌ-চলাচলরি জন্য ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেলিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা বলে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, আলোচ্য প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। তা যাচাই করতে পরিকল্পনা কমিশনে ১৬ এপ্রিল পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কিছু ব্যাপারে আপত্তি করা হলে তা সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে সম্প্রতি পাঠানো হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, মংলা বন্দরকে ঘিরে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পদ্মা সেতু থেকে মংলা পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন, নেপাল-ভুটানের পণ্য পরিবহনের জন্য পঞ্চগড় (বাংলা বন্দর) থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক রেল যোগাযোগের পাশাপাশি বিদ্যমান সেতু-কালভার্টের উন্নয়ন, মংলা ইপিজেড সম্প্রসারণ, স্পেশাল ইকোনোমি জোন স্থাপন, খুলনায় ইকোনোমিক জোন স্থাপন, স্বল্প সময়ের মধ্যে খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ সমাপ্তকরণ, রূপসা নদী ও মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি, মংলায় মেরিন একাডেমি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে মংলায় গ্যাস সংযোগ প্রদান ও পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্প।

তাই পশুর নদীর পূর্ব তীরে এ বন্দরের অ্যাংকোরেজ এলাকায় সাড়ে ১০ মিটারের ঊর্ধ্বে জাহাজ বার্থের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে জোয়ারের সময় এ বন্দরে সর্বোচ্চ সাড়ে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে। তাই এলাকার নাব্যতা বাড়াতে ‘মংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং” নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব-ডিপিপি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। তাতে ৭৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুনে। তা যাচাই-বাচাই করতে ১৬ এপ্রিল প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি-পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যয়সহ কিছু ব্যাপারে আপত্তি করা হলে তা সংশোধন করে পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। তাতে ব্যয় কমিয়ে ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকাল সময় বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এটির আদৌ দরকার আছে কি না তা জানতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষাও করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এ কাজটি করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও পশুর চ্যানেলে নির্বিঘ্নে নৌ-চলাচলের জন্য পর্যপ্ত নাব্যতা রক্ষার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই সব প্রক্রিয়া শেষ করে একনেকে আজ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফট সম্পন্ন জাহাজ চলাচল করা সম্ভব হবে। এর ফলে মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রফতানি আরও বাড়বে। এতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এমএ/বিএ