ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

রফতানি কর ও শিক্ষায় ভ্যাট কমিয়ে অর্থবিল পাস

প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ২৯ জুন ২০১৫

দেশের প্রধানতম শিল্প তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রফতানি মূল্যের ওপর এক শতাংশ উৎসে করের প্রস্তাব কমিয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ কয়েকটি সংশোধনী এনে অর্থবিল-২০১৫ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে এটি পাস হয়।

গত ৪ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সঙ্গে এই অর্থবিল উত্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী মঙ্গলবার পাস হবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট। ১ জুলাই নতুন অর্থবছরের শুরুতে এই বাজেট কার্যকর হবে। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মোট ২১৯ জন সংসদ সদস্য ৫৭ ঘণ্টা আলোচনা করেছেন।

এই বিল অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর মূসক (ভ্যাট) ১০ শতাংশের বদলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি বিষয়সহ বেশ কিছু প্রস্তাবে পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

বিলটি পাসের আগে দেওয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার প্রস্তাবিত বাজেটের উপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব বিষয়ে পরিবর্তন করার প্রস্তাব করেছেন সেগুলো অবশ্যই সংশোধন হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব মানে নির্দেশ। অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলো গ্রহণ করে ‘সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনে আনীত অর্থবিল-২০১৫’ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বাজেট প্রস্তাবে সংশোধনী
বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানি মূল্যের উপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হতো। ৪ জুন অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন তাতে রফতানি আয়ের ওপর এক শতাংশ উৎসে কর কাটার কথা বলা হয়।
 
বাজেটের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তা কমিয়ে সব ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব রেখে অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এ বছর এই সুযোগ দেন, আগামীতে ভালো করলে আপনি বাড়াবেন। এতোদিন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর ভ্যাট ছিল না। এবার বাজেটে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাহার করতে না বললেও ১০ শতাংশের বদলে ৭.৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ খাতে গবেষণা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেন সরকার প্রধান। তিনি ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সব ধরনের আমদানি শুল্কসহ সব শুল্ক-কর প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের প্রতিষেধক, ভেষজ ও হারবাল ওষুধের কাঁচামালে ছাড়  দেওয়ার আহ্বান জানান।

পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প দেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী পোল্ট্রি শিল্পের আয় থেকে কর কাটার প্রস্তাব করেছেন। আমি অনুরোধ করবো ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করা হোক। এরপর ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ করা হোক। মৎস্য শিল্পের আয়কেও একইভাবে বিবেচনা করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবিত বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় থেকে ৩ শতাংশ, ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা ১০ শতাংশ এবং ২০ লাখ টাকার ওপরের আয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে কর নেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। একই ধরনের প্রস্তাব ছিল মৎস্য খাতেও।

এইচএস/বিএ/আরআইপি