বাজারমূল্যের ৯৫ শতাংশে নেমে গেলে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে না
পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাজারমূল্যের ৯৫ শতাংশে নেমে গেলে লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাজারমূল্যের ৮৫ শতাংশে নেমে গেলে প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না, এই মর্মে পরিপত্র জারি করা হয়। রোববার ওই পরিপত্রের সংশোধন আনা হয়।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৪০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে। এতে বর্তমানে ৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এর মধ্যে ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের (সাবসিডিয়ারি) এক হাজার ১২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটে মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতির বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর অন্তত একশ’ কোটি টাকা সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। যা ব্যাংকের ঋণযোগ্য তহবিল বাড়াতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রে বলা হয়েছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয়মূল্য ওই সময়ে উক্ত ইউনিটের বাজারমূল্য অথবা চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের শতকরা ৯৫ ভাগের যেকোনো একটি অপেক্ষা কম বা তার সমান হয়, সেক্ষেত্রে প্রভিশন সংরক্ষণের কোনো প্রয়োজন হবে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক কোম্পানির ধারণকৃত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতির বিপরীতে ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ৩৮ ধারার প্রথম তফসিল অনুসারে প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পরিবর্তনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে এখন থেকে ইউনিটের গড় মূল্য বা ক্রয়মূল্য তার বাজার মূল্য বা নিট সম্পদ মূল্যের যেকোনো একটির চেয়ে ৯৫ শতাংশের বেশি কমে গেলে ব্যাংকগুলোকে সঞ্চিতি রাখতে হবে না। কিন্তু ক্রয়মূল্য এর চেয়ে কম থাকলে প্রযোজ্য হারে সঞ্চিতি রাখতে হবে। সঞ্চিতির ক্ষেত্রে ঘোষিত ছাড় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত সব মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
এসএইচএস/আরআইপি