নিউইয়র্কে প্রাণ গুড়া মসলা’র অফার (ভিডিও)
‘প্রাণ গুড়া মসলা’র পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ অফার এর ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাণ গুড়া মসলার ম্যাজিক অফারে অংশগ্রহণ করে যে কেউ নিউইয়র্ক থেকে সার্কভুক্ত দেশে যাওয়া ও আসার এয়ার টিকিট পাবেন। অফার স্টিকারযুক্ত প্রাণ গুড়া মসলার পেপার অথবা জার এর সাথে থাকা স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতারা এই অফারে অংশ নিতে পারেবেন। স্ক্র্যাচ কার্ডের অন্যান্য উপহারের মধ্যে থাকছে প্রাণ ম্যাংগো জুস অথবা মিষ্টার নুডলস। ১০টি এয়ার টিকিট আগামী ৩ মাসের মধ্যেই বিতরণ করা হবে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অফারের ঘোষণা করেন নিউইয়র্কে প্রাণ এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান অনটাইম ড্রিষ্ট্রিবিউশন ইনক এর সিইও মোস্তাফিজ রহমান।
তিনি জানান, নিউইয়র্কে বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীরা ছাড়াও সেখানে বসবাসকারীদের মাঝে প্রাণ গুড়া মসলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে আমরা এই কনজ্যুমার প্রমোশন প্রাণ ম্যাজিক অফার আয়োজন করেছি। প্রাণ ম্যাজিক অফার এ অংশগ্রহণকারী সকলেই নিশ্চিতভাবে কোনো না কোনো পুরস্কার পাবেন বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান প্রাণ এর ঝটপট ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ফ্রোজেন ফুড যেমন পরোটা, ডালপুরি, আলুপুরি, সমুচা ও সিঙ্গারা অচিরেই নিউইয়র্কে পাওয়া যাবে।
অনটাইম ড্রিষ্ট্রিবিউশন ইনক এর কর্ণধার মোস্তাফিজ রহমান বলেন, আমাদের ১০ বছরের যাত্রায় আগেও কমিউনিটির মিডিয়ার সহযোগীতা পেয়েছি তবে আমরা এখন আরো বেশী সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ কর্তৃপক্ষ উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন শীতল সাহা, তওফিক রহমান, শহীদুল আনাম ও সাঈদ সুমন ও এমডি আরিফিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ এর প্রতিষ্ঠাতা মে.জে. (অব:) আমজাদ খান ১৯৮১ সালে কেন এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপে ৫২ হাজার কর্মজীবি কিভাবে প্রায় ২০০টি আইটেম তৈরী ও বাজারজাত করছেন তা বিস্তারিতভাবে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
তারা বলেন, বর্তমানে তাদের ১১৫টি দেশে প্রাণের বাজার রয়েছে। ভারত , ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য আমাদের অনেক বড় মার্কেট রয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকায়ও আমাদের প্রোডাক্ট যাচ্ছে। প্রাণ প্রথমে ড্রাই ফুড দিয়ে শুরু করে এখন অনেক ধরনের নতুন নতুন প্রডাক্ট বাজারে নিয়ে আসছে। প্রাণে বর্তমানে ৫২ হাজার মানুষ কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গ্রোসারী ষ্টোরের মালিকদের মাঝে মান্নান সুপার মার্কেটের প্রধান সাঈদ রহমান মান্নান, খামার বাড়ীর কামরুজ্জামান এবং গৃহিনী রুবী চৌধুরী প্রাণের প্রোডাক্ট নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।